পূজোর কার্নিভাল আর দ্রোহের কার্নিভাল ঘিরে একদিকে রাজ্য রাজনীতি যখন উত্তাল ঠিক সেই সময় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ঘোষণা করলেন ওনারা।
মঞ্চের বক্তব্য আসল অপরাধীকে আড়াল করতেই একজন সাধারণ দরিদ্র পুরোহিত ঘরের সন্তান ধনঞ্জয়কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । এর ফলে ধনঞ্জয়ের পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি না হওয়ায় হেঁতাল পারেখের আত্মাও শান্তি পায়নি । শুধু তাই নয় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মূলত ওনার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের কারণে নাটা মল্লিককে দিয়েও রাষ্ট্র ব্যবস্থা খুন বা পাপ করিয়েছে যেখানে নাটা মল্লিকের কোন দোষ ছিলনা ।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য মহালয়ার দিন সত্য অনুসন্ধানের আশায় এই মঞ্চে যুক্ত হয়েছেন নাটা মল্লিকের ছেলে এবং পরিবারের সদস্যরাও । চন্দ্রচূড় বাবুর বক্তব্য আমাদের আইন ব্যবস্থা বলছে বেনিফিট অফ ডাউট দিতে গিয়ে দশজন অপরাধীর ছাড় পেয়ে যাওয়া ভালো কিন্ত কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায় । কিন্তু এখানে হয়েছে ঠিক উল্টো অর্থাৎ প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করতেই একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে । ফলে এই কেসে আইন ব্যবস্থার আত্মাটি বিনষ্ট হয়েছে । ১৯৯০ সালে হেঁতাল দেবী খুন হওয়া থেকে ২০০৪ সালে ধনঞ্জয় বাবুকে অন্যায় ভাবে ফাঁসিতে ঝোলানো পর্যন্ত সমস্ত তথ্যপ্রমাণ এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আছে ।
খুব তাড়াতাড়ি আমরা জনো আন্দোলন এবং আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছি । অতীতে গ্যালিলিও, ব্রুনো, কোপার্নিকাসদের মত বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের সত্যি কথা বলার জন্য অন্ধবিশ্বাস এবং চার্চের ধর্মগুরুদের প্রকোপে পড়ে নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে । কিন্তু আজ শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের বলা কথা অর্থাৎ সূর্য স্থির এবং পৃথিবী তার চারদিকে ঘুরছে সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
আমরাও চাই ধনঞ্জয় বাবুর কেসটা একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক যেখানে প্রমাণিত হবে আমাদের বিচার ব্যবস্থাকে আরো বেশি সতর্ক, সংবেদনশীল এবং নিরপেক্ষ হতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কাউকে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় না হতে হয় । "We Want Justice" ঐতিহাসিক বইটি সেই দিকেই আরো একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ হতে চলেছে ।
কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী।
0 মন্তব্যসমূহ
Thankyou for your Feedback !