পার্ট - ১
লকডাউনের জেরে ৫০ দিনের বেশি হল বন্ধ রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম মঙ্গলা হাট সহ গার্মেন্টস নগরী মেটিয়াবুরুজ। ফলে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন চব্বিশ পরগণা, হুগলী, মেদিনীপুর সহ পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার ১৩ লক্ষ দর্জি সহ ৫০ লক্ষেরও বেশি ছোট ওস্তাগর, হোলসেলার, রিটেলারের জীবন জীবিকা আজ প্রশ্নের মুখে।
অনান্য বছর চৈত্র সেল, বৈশাখ মাসে নববর্ষ থেকে ঈদ পর্যন্ত এই হাওড়া, মেটিয়াবুরুজের হাট থেকে বাংলার দর্জি ভাইদের বানানো পোষাক ভারতের ৮৫% মধ্যবিত্ত সহ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে যে রেডিমেড ব্যবসার রমরমা বাজার চলতো এবছর করোনা পরিস্থিতির জেরে লকডাউন পরবর্তী ব্যবসাতো দুরস্ত উপরন্ত দুবেলা দুমুঠো খাবারটুকু কষ্টে জুটছে।
হাওড়ার বাকড়া, ধুলাগড়, অঙ্কুরহাটি, ডোমজুড়, হুগলী, দক্ষিন চব্বিশ পরগনার আক্রা, সন্তোষপুর, ক্যানিং, মগরাহাট, ঘটিয়াশরিফ এবং মেদিনীপুরের যে দর্জি পেশায় যুক্ত মানুষেরা সামান্য কিছু পুঁজি সঞ্চয় করে হাটে গদি লিজে নিয়ে ব্যবসা করছিলো লকডাউনে কর্মীদের বেতন দিতে আর নিজের খাদ্যের সংস্থান করতে শেষ সম্বল টুকুও বেরিয়ে যাচ্ছে।
এমনই অবস্থায় এই অসংগঠিত কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বঙ্গীয় শ্রমিক সম্মেলন নামে সর্ববঙ্গীয় শ্রমজীবী মানুষদের গন সংগঠন।
করোনা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে এই মানুষগুলোর হয়ে বিভিন্ন দাবি নিয়ে ইতিমধ্যে এরা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছে ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thankyou for your Feedback !